ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম হল অ-নেটিভ ইংলিশ ভাষা স্পিকারদের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতার একটি আন্তর্জাতিক প্রমিত পরীক্ষা। এটি যৌথভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল, IDP এবং কেমব্রিজ ইংলিশ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং 1989 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইইএলটিএস পরীক্ষা দেয়া যায় দুই ধরনের মডিউলে: একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য পরীক্ষা দিতে হয় একাডেমিক মডিউলে। যদি কোনো শিক্ষার্থী কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে চান, তবে তাকে জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়া যারা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চান, তাদেরকেও জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই শ্রবণ (শোনা), পাঠন (পাঠ করা), লিখন ও কথন (কথা বলা) এই চারটি অংশ থাকে
শ্রবণ
এ অংশে কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। সিডি থেকে কথোপকথন শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হয় পরীক্ষার্থীদের। ৪০টি প্রশ্ন থাকে। ৩০ মিনিটে চারটি অংশে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়।
লিখন
ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয় এ অংশে। এখানে ১ ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর থাকে।
পঠন
পরীক্ষার্থীদের এ অংশে ১ ঘণ্টায় তিনটি অনুচ্ছেদ থেকে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এখানে বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়ে থাকে। সেখান থেকেই বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি থাকে।
কথন
এখানে পরীক্ষার্থীদের মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, শখ ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই মিনিট টানা কথা বলতে হয়। এর আগে প্রস্তুতির জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়। তৃতীয় অংশে থাকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে চার-পাঁচ মিনিটের কথোপকথন।
স্কোরিং
১ থেকে ৯-এর স্কেলে আইইএলটিএসের স্কোরিং করা হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে প্রাপ্ত স্কোর যোগ করে গড় করে চূড়ান্ত স্কোর দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় পাস বা ফেল হওয়ার কোনো বিষয় নেই।[৩] আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকে ২ বছর।